ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পনেরো বছরেও সংস্কার হয়নি সড়কের

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উপেক্ষা করে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তসার ইউনিয়নের, লাবনকাঠি, সামন্তসার ও দিগসকুল গ্রামের, একটি সড়কের উন্নয়নের জন্য মানুষ অসহায় হয়ে মানব বন্ধন করে যাচ্ছেন। তবুও প্রশাসনের কোনো টনক নরছেনা।

জানা যায়, সর্বশেষ ২০০৫ সালে সংস্কার হয়েছিল সড়কটির। দীর্ঘ পনেরো বছর সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরে গেছে এবং ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়িত পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া, প্রতিনিয়ত ৩ টি ইটের ভাটার গাড়ি চলাচল করে।

স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা দিয়ে ইটের গাড়ি থ্রি হুইলার মাহেন্দ্র ট্রলি,নসিমন যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থান গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সড়কের পিচ, সুরকি, ইট উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তে পানি আটকে থাকে। এতে যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়।

এখান দিয়ে স্কুল ও কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে। এ রাস্তা দিয়ে তাদের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এলাকবাসীর যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। অথচ ৩ কিলোমিটার পুরো রাস্তার বেহাল দশা। কৃষি নির্ভর এই গ্রামের ফসলাদি বাজারজাত করাটাও এখন সম্ভব হচ্ছে না।

শিক্ষার্থী সাদিয়া জানান, আমাদেরকে প্রতিদিন স্কুলে,কলেজে যেতে হয়। কোন গাড়ি এই রোড দিয়ে আসতে চায় না। ফলে বাধ্য হয়ে হেঁটেই আসতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে। পানির মধ্যে হাঁটতে গিয়ে র্দুঘটনার ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।

স্থানীয় বাসিন্দা ওমর আলী কাজী জানান, এলাকায় বড় কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস এর গাড়ি ঢুকতে পারেনা বেহাল সড়কের জন্য।

সাবেক ইউপি সদস্য আবু বকর কোতোয়াল জানান, জরুরি চিকিৎসাসেবা বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

উল্লেখ্য, এলাকাবাসী কয়েকবার ইউএনও বরাবর চিঠি দিয়েছে। ইউএনও বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত মেরামতের কোন ব্যবস্থা এলাকাবাসী চোখে দেখেনি।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন