রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য অমল দে, ৯ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মাহবুব আলম, ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম মনা সহ অনেক ইউপি সদস্য করোনা যুদ্ধে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসচ্ছল পরিবারগুলোর বাড়ী বাড়ী গিয়ে তালিকা করে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জমা করে আবার তাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ত্রান সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। শুধু সাধারণ সদস্য নয় সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরাও এই কাজে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন এই কাজে।
কথা হয় ৪ নং কাপ্তাই ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য সুইপ্রু মারমা, ৫ নং ওয়ার্ড এর সদস্য সজিবুর রহমান, চিৎমরম ইউনিয়ন এর ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য উক্যসাই মারমা, ৫ নং ওয়াগ্গার ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মায়ারাম তনচংগ্যা, মহিলা সদস্য ওয়াগ্গার মিনুপ্রু মারমা এবং চিৎমরমের মিচিং মারমার সাথে। তারা জানান, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন এবং চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় করে তারা তাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন।
১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কর্মহীন হয়ে পড়া হত দরিদ্রদের ৮ম ধাপ পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসার উপহার প্রদান করা হয়েছে। আর এই কাজে পরিষদের ইউপি সদস্যরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে তালিকা সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা করে আবার তাদের ত্রান সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে জানান, তৃনমূল হতে তালিকা সংগ্রহ করে তাদের তথ্য যাচাই বাছাই করে উপজেলা প্রশাসন এবং চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় করে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী হাসি মুখে দোয়ারে দোয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন, অথচ তাদের নেই কোন সুরক্ষা, নেই কোন বরাদ্দ। তিনি জানান, ইউপি সদস্যদেরকে এই কাজের জন্য মাস্ক এবং সাবান প্রদান করা হয়েছে।
করোনা যুদ্ধে এই সব জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্হানীয় জনগন।
আনন্দবাজার/শাহী