ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনা রোগী, বাড়েনি আইসিইউ শয্যা

লকডাউন শিথিলের পর থেকে চট্টগ্রামে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার (১২মে) একদিনেই চট্টগ্রামে ৪ ল্যাবে ৪৭৯ নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গত ৮ দিনে চট্টগ্রামে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৩২ জন।

এদিকে চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে বাড়েনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা সংখ্যা।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (১২ মে) পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ৪১১ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ জন, মারা গেছেন ২৩ জন। বাকি ৩০৯ জনের এখনো করোনা পজিটিভ। অথচ চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সিট আছে সবমিলিয়ে ২২০টি।

সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০০ সিটের আইসোলেশন ও ১০ সিটের আইসিইউ ওয়ার্ড, ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৩০ সিটের আইসোলেশন ওয়ার্ড ছাড়াও একই এলাকায় অবস্থিত ফিল্ড হাসপাতালে ৫০ সিট ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ সিটের অবজারভেশন ওয়ার্ড আপাতত ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য।

চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে ২২০ সিটের বিপরীতে ৩০৯ জন আক্রান্তের এই ধাক্কা সামাল দিতে দৃশ্যমান উপসর্গ না থাকলে রোগীকে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের গঠিত কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে ৫০-৬০টির মতো আইসিইউ শয্যা আছে। এসব হাসপাতালে ভেন্টিলেটর আছে ৩০-৩৫টি। আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা থাকা ১২টি বেসরকারি হাসপাতালের কোনটিই এখন করোনা আক্রান্তদের কাজে আসছে না।’

প্রসঙ্গত গত ৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির এক নির্দেশনায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা থাকা চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতাল বাছাই করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে অধিকাংশ হাসপাতালের মালিকের সেই নির্দেশনা মানতে গড়িমসি করছেন।

বর্তমানে এসব বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতাল করোনা রোগী ভর্তি রাখতে চূড়ান্ত অনীহা ও অস্বীকৃতি প্রকাশ করে। যার ফলে আইসিইউ সেবা না পেয়ে ৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানান স্বাচিপ গঠিত কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান।’

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন