খুলনায় মার্কেট খোলার পর থেকে কিছু কিছু মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তের বাজার হিসেবে পরিচিত ডাকবাংলা এলাকার মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্টো দৃশ্য ছিল নগরীর নিউমার্কেটের আশপাশ, শিববাড়ি মোড় ও মজিদ সরণী এলাকায়। এসব এলাকার বিভিন্ন ব্রান্ডের শো-রুম খুললেও সেখানে ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল।
এদিকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদ পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতি। সোমবার সারাদিনই মার্কেটের ফটক বন্ধ ছিল। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ব্রান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুম, ফার্নিচার শো-রুমসহ অন্যান্য দোকানপাট খোলা ছিল।
সোমবার (১০ মে) দুপুরে ডাকবাংলো এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান সড়ক থেকেই যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তীব্র রোদের মধ্যে মানুষ হেটে হেঁটে মার্কেটে যাচ্ছেন। ওই এলাকার প্রতিটি সড়কে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
খুলনা বিপনী কেন্দ্র দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম বলেন, সতর্কভাবে দোকান খোলা হয়েছে। সীমিত সংখ্যক ক্রেতাদের কিছু সময় পর পর মার্কেটের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং মাস্ক ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
রেলওয়ে মার্কেট সড়কের খুলনা বিপণী কেন্দ্র দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়েছে। একটা পর্যন্ত অনেক ক্রেতা হয়েছে। সব দোকানেই কম বেশি বিক্রি হয়েছে। ৪টার মধ্যে আমরা দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।
খুলনা নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আপাতত মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটা জানানো হবে।
আনন্দবাজার/শাহী