ঢাকা | বুধবার
১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মশার উপদ্রবে ডেঙ্গু আতঙ্কে পুরান ঢাকাবাসী

মশার উপদ্রবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে পুরান ঢাকার মানুষের জীবন। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর মশার এই উপদ্রব বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং অকার্যকর ওষুধ ছিটানোর কারণে মশার দৌড়াত্ব কমছেই না পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। যেকারণে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে করোনা আতঙ্কের মাঝেই ডেঙ্গু আতঙ্ক ঝেঁকে বসেছে নগরবাসীর মনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ ভাই ঘাট লেন, রোকনপুর, কলতাবাজার সহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি এলাকাতেই মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। এসব এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে পরিত্যক্ত টব, পাত্র, পলিথিনে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্ন পরিত্যাক্ত গলিতে ফেলে রাখা ময়লা আবর্জনাতেও এসব মশা জন্ম নেয়।

পাঁচ ভাই ঘাট লেনের ট্রাকস্ট্যান্ডে বিভিন্ন ট্রাকে এবং পরিত্যাক্ত টায়ারে জমে থাকতে দেখা গেছে পানি। কনস্ট্রাকশনের কাজ চলা কিছু ভবনের পাত্রে, কেটে রাখা মাটিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় পানিতে মশার লার্ভার উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।

কলতাবাজারের জাকির হোসেন বলেন, ইদানিং প্রচুর মশা বেড়ে গেছে। এলাকার ড্রেনগুলো জলাবদ্ধ হয়ে থাকে, যেখান থেকে মশার উপদ্রব হয়ে থাকতে পারে। সারাক্ষণই ডেঙ্গুর আতঙ্কে থাকতে হয়। সিটি করপোরেশনের ওষুধ ছেটানোর পরও আমরা তেমন উপকার পাচ্ছি না।

ট্রাকস্ট্যান্ডের দুলাল মিয়া বলেন, এখানে চারিদিকে ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরা। এলাকায় অনেক মশা। মশার কারণে একটু বসে থাকাও যায় না। মশার এত উপদ্রব যে কয়েল দিয়েও মশার যন্ত্রণা কমানো যায় না। ট্রাকস্ট্যান্ডের চারপাশে টায়ার ফেলে রাখা, পরিবেশ অপরিষ্কার এবং বিভিন্ন জায়গায় পানি দিয়ে ভরা। আর করপোরেশনের ওষুধে তো কোন কাজই হয় না।

পাঁচ ভাই ঘাট লেনের মুন্না বলেন, লকডাউনের কারণে ট্রাকস্ট্যান্ডের ট্রাকগুলো এখান থেকে বের হয় না। এগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে, এছাড়া টায়ারেও পানি জমে থাকে। যেকারণে মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে। আগে শুধু রাতে মশা জ্বালাতন করত এখন দিনেও মশার জ্বালাতন অনেক বেড়ে গেছে। এসব কারণে সারাক্ষণ ডেঙ্গুর আতঙ্কে থাকতে হয়।

সিটি করপোরেশনের ওষুধ ছিটানোর পরও মশার উপদ্রব না কমায় তাদের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। শীঘ্রই এ ব্যাপারে উদ্যোগ না দিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ এবারও তীব্র হয়ে ওঠার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। কার্যকর ওষুধ প্রয়োগ করে শীঘ্রই মশার উপদ্রব কমিয়ে ডেঙ্গুর ঝুঁকি দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন এসব এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন