শর্ত সাপেক্ষে মার্কেট খোলার বিষয়ে সরকারের অনুমতি আসায় পাহা-মহল্লার ছোট ছোট দোকানগুলোও খুলতে শুরু করেছে। ফলে শারীরিক দূরত্ব আরও ঢিলেঢালা হয়ে যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি।
কুড়িগ্রামের সুপার মার্কেট শাপলা চত্তর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে মার্কেট খোলার জন্য সম্প্রতি সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। এক্ষেত্রে ১০ মে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখা যাবে।
তাদের সঙ্গে খুলছে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও। চা স্টল, ফার্নিচার, হার্ডওয়্যার, খেলনাসহ প্রায় সব ধরনের দোকানগুলোই তাদের ঝাপ তুলে ফেলেছে।
সরগরম হয়ে উঠেছে চায়ের দোকানগুলো। এতে নিন্ম আয়ের মানুষজনই বেশি আসছেন। দোকানিরা বলছেন, টানা দেড়মাস ব্যবসা বন্ধ থাকায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সামনে ঈদ আসছে। আর তো পারা যাচ্ছে না।
শহরের দাদা মোরে চা-স্টলে কথা হয় তোফায়েল মিয়ার সঙ্গে। তিনি আনন্দবাজার নিউজকে বলেন, ‘বউ-বাচ্চা নিয়া তো না খেয়ে মারা যাবো আর কতো। করোনা হইলে হইবো। সরকার মার্কেট খুলার অনুমতি দিছে। আমাদেরও তো বাঁচতে হইবো। তবে এমনিতেই মানুষ কম। আবার রোজার দিন। তাই টুকটাক বিক্রি হইতাছে।’
সুপার মার্কেট এর এক খেলনার দোকানির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঘরে আর কতদিন বইয়া বইয়া খাওয়া যায়। ছোট দোকান চালায়া আর কতই ইনকাম অয়। দোকান খুললেও কাস্টমার তো নাই।’
মার্কেট খোলার ঘোষণা আসার পর খুলছে বিভিন্ন অফিসও। তাই বাইরে বেড়েছে মানুষের আনাগোনাও। সর্বত্রই এখন মানুষের বেশ দেখা মিলছে। প্রায় জনমানবশূণ্য হয়ে ওঠা সড়কগুলোও ধীরে ধীরে ফিরে যাচ্ছে আগের রূপে।
আনন্দবাজার/শাহী