সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতি বন্ধ ও তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠান কর্ণধারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি -ডিআরইউ’তে ব্রাকের সহায়তায় ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ বুথ’ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা দু:খের সাথে লক্ষ্য করছি, কিছু মিডিয়া হাউজে চাকুরিচ্যুতি ঘটেছে, অনেকের বেতন দেয়া হয়নি। আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন- এদের কর্ণধারদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, মহামারীর এই দু:সময়ে দয়া করে কাউকে চাকুরিচ্যুত করবেন না এবং যাদের বেতন বাকি আছে, তা দিয়ে দিন।
সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা যাতে ঠিকমতো হয়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্রোড়পত্রের বিল দেয়ার ব্যবস্থা করছি আমরা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের সংস্থা থেকে গণমাধ্যমের যত বিল বাকি আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য।
মন্ত্রী এসময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক-নার্স, পুলিশ, সেনাবাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী ও দায়িত্বপালনরত সকলকে অভিনন্দন জানান। সম্প্রতি প্রয়াত তিন সাংবাদিকের আত্মার শান্তি কামনা ও করোনায় আক্রান্ত প্রায় একশ’ সাংবাদিকের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
এসময় ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ও কোভিড-১৯ রেসপন্স প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা: ইকবাল কবীর, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর, ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, কল্যাণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, দৈনিক বর্তমানের প্রধান প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য শফিউল আলম শফিক প্রমুখ।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস