বগুড়া সদর উপজেলার পল্লী থেকে একটি বিরল প্রজাতির বালুবোরা সাপ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। পরে সাপটি উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধারের সময় সাপটিকে অজগর হিসেবে উল্লেখ করা হলেও বন্যপ্রাণী গবেষকগণ ছবি দেখে নিশ্চিত করেন এটি আসলে বালুবোরা বা বেবি পাইথন।
বাংলাদেশে এ সাপের বিচরণ নেই বললেই চলে। এটি বালুুময় নদী এলাকায় বাস করে।
জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সগুড়া সদও উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের বহিষবাথান গ্রামের কৃষক বকুল হোসেন তার পটলের জমিতে যান। এসময় জমির পাশে তিনি অনেক পাখির কিচিরমিচির শুনে সেখানে গিয়ে অজগর আকৃতির ওই সাপটি দেখতে পান। তার মাধ্যমে গ্রামবাসী সাপটির কথা জানতে পেরে সেখানে ভিড় জমায়।
এসময় গ্রামবাসী ওই সাপটি ধরতে গিয়ে সূচালো অস্ত্র (পাঁচা) দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ডালিম সেখানে পৌঁছে গ্রামবাসীকে সাপ মারা থেকে নিবৃত করেন এবং পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের সদস্যদের খবর দেন।
খবর পেয়ে তীর সভাপতি আরাফাত রহমান, সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন।
তখন তারাও সাপটিকে অজগরের বাচ্চা বলে গ্রামবাসীকে জানান। পরবর্তীতে তারা এ সাপের সঠিক প্রজাতি নিশ্চিত হতে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের কাছে ছবি পাঠান।
তীর সভাপতি আরাফাত রহমান জানান, সাপ গবেষক আবু সাঈদ এটিকে ‘Rough Scaled sand boa/common sand boa’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিভিন্ন গবেষকের সঙ্গে কথা বলে ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানা যায়, সাপটি একটি common sand boa। যার বাংলা নাম বালুুবোয়া বা বালুুবোরা। এটিকে বেবি পাইথনও বলা হয়। বৈজ্ঞানিক নাম Gongylophis conicus দেখতে অনেকটা অজগর সাপ ও রাসেল ভাইপারস সাপের মতো। লেজ মোটা ও ভোটাকৃতির। লম্বায় ২৩ ইঞ্চি। এটি একটি বিলুপ্ত প্রজাতি, যা বাংলাদেশে দেখা যায় না।
তিনি জানান, সাধারণত ইউরোপ, মধ্যপাচ্য, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যায়। বালুুময় নদী এলাকায় এ সাপ বাস করে। বাংলাদেশে বালুবোরা সাপের বিস্তৃতি নিয়ে কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি।