করোনা আক্রান্ত পরিবার গুলোর পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে.কর্নেল অব.ফোরকান আহম্মদ।
করোনা দুর্যোগের শুরু থেকে নিজ তহবিল থেকে হতদরিদ্রের দুয়ারে দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাচ্ছেন তিনি। ত্রাণ সহায়তা নিয়ে কখনো কউক চেয়ারম্যান নিজেই হাজির হচ্ছেন অসহায় মানুষের দরজায় ।আবার কখনো বা তালিকা তৈরি করে অসহায় পরিবার গুলোর ঘরে ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে সহায়তা।
গত দেড়মাস ধরে প্রতিদিন কক্সবাজার সদরের কোন কোন এলাকায় নীরবে চলছে কউক চেয়ারম্যানের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম । কোন ধরনের ফটোসেশন ও হৈচৈ ছাড়াই ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের চালানোয় সেই শুরু থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। যার ধারবাহিকতা রয়েছে এখনো।
করোনা দুর্যোগ শুরু থেকে এ পর্যন্ত নিজ তহবিল থেকে ৫ হাজারের অধিক পরিবারকে ত্রাণ ইফতারি ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন লে.কর্নেল অব.ফোরকান আহম্মদ। পাশাপাশি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় চালাচ্ছেন সচেতনমূলক প্রচারণাও।
করোনা সংকট শেষ না হওয়া পর্যন্ত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল অব.ফোরকান আহাম্মদ।
তিনি বলেন, আমার সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা করার সুযোগ নেই। তবে নিজ তহবিল থেকে সাধ্যমত অসহায় পরিবার গুলোর পাশে শেষ পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের শহরে পাশাপাশি সদরের খুরুশকুল,চৌপলদন্ডী বৃহত্তর ঈদগাঁও এর ইসলামপুর, ইসলামবাদ, জালালবাদ ঈদগাঁও ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় কউক চেয়ারম্যানের ত্রাণ ও ইফতারি সামগ্রী উপহার হিসেবে হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও দরিদ্র অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানো কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাশেও দাড়িয়েছেন কউক চেয়ারম্যান। সম্প্রতি ছাত্রলীগের কাজের স্বীকৃতি এবং ভাল কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে জেলা ছাত্রলীগের আড়াইশো নেতা-কর্মীর হাতে উপহার তুলে দেন তিনি।
ভুলে যাননি জাতির এই ক্লান্তিলগ্নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের কথাও। অসচ্ছল শতাধিক সাংবাদিকদের পাশে দাড়াতেও দেখা গেছে কক্সবাজার কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব) ফোরকান আহম্মদকে।
আনন্দবাজার/শাহী