করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের আরও ১২৯ কয়েদিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (০৮ মে) দুপুরে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা পেয়েছে। এর আগে গত শনি ও রোববার দুই দফায় ৯৮ বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, তৃতীয় ধাপে ১২৯ কয়েদিকে মুক্তি দিতে দুপুরেই নির্দেশনা পেয়েছি। যাদের জরিমানা নেই, তাদের সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হবে। আর আগের ৯৮ বন্দির অনেকেই চলে গেছেন, কেউ কেউ জরিমানা পরিশোধ না হওয়ায় আটকে আছেন।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত (কোভিড-১৯) রোগের বিস্তার রোধে কারাগার গুলোতে বাড়তি ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ রকম বন্দিদের তালিকা কিছুদিন আগে কারা অধিদপ্তর সারাদেশের কারাগারগুলো থেকে নিয়েছিল। তালিকা পাওয়ার পর সারাদেশ থেকেই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর, কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন, এ রকম কয়েদিদেরই সাধারণ ক্ষমায় সাজা মওকুফ করা হয়েছে। তবে কারাদণ্ডের সঙ্গে যদি কারও অর্থদণ্ডও থেকে থাকে, তাহলে তাকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ এই কারাগারে হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে বন্দি থাকেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এস আই