ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচ্ছপ গতিতে চলছে গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজের নির্মাণ কাজ

ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার টাঙ্গন ব্রীজটির নির্মাণ কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। লোকবল না বাড়ালে আসন্ন রমজানের আগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ অসমাপ্তই রয়ে যাবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, শহরের এই ব্রীজটির উপর দিয়ে পৌর শহর থেকে কলেপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় মানুষজন যাতায়াত করে। ব্রীজের উপর দিয়েই শহরের মানুষজন, সরকারি কলেজ, ডায়াবেটিকস হাসপাতাল, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা সার্ভার স্টেশন, বিএডিসি, হর্টিকালচার সেন্টার, ক্যাথলিক চার্চ, আকচাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে যাতায়াত করে। বিকল্প টাঙ্গন ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াতে ২-৩ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। এ কারনে পূর্বের লোহার ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলায় ২ পারের মানুষের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ যেন চরমে উঠেছে।

শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিলয় জানান, টাঙ্গন নদীর উপরে যে লোহার ব্রিজটি ছিলো তা ব্রিটিশদের আমলে নির্মিত হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রীজটির একাংশে সমস্যা হলে মেরামত করা হয়। পরবতর্তিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রীজটির উপর দিয়ে ২ পারের মানুষজন চলাফেরা করে আসছিল। এ অবস্থায় দীর্ঘ ২-৩ যুগ ঝুকিপুর্ন থাকা অবস্থায় গত বছর ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তিতে ব্রীজটি সম্পুর্ন ভেঙ্গে ফেলা হয়। নতুন ব্রীজ নির্মানের কাজও শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তবে এলাকাবাসী জানায় নির্মাণ কাজ অল্প কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে করানোয় ধীর গতিতে কাজ চলছে। এ অবস্থায় কাজ চলতে থাকলে দীর্ঘদিন লাগবে সেতুর কাজ শেষ করতে।

ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী বৃষ্টি রাণী জানান, সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত প্রায় দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীই শহরের বিভিন্ন ম্যাস ও বাসা-বাড়িতে থাকে। লোহার পুলটি ভাঙ্গার পর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে কলেজে যাতায়ত করছে তারা। এ জন্য বেশিরভাগ সময়েই রিক্সা বা অটো রিক্সা কলেজের দিকে যেতে চাইছে না, তাই কলেজ যাতায়াতে দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে আমাদের।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নির্মান কাজের ঠিকাদার পার্থ সারথি সেন জানান, কাজ স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। তবে নদী কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে পর পর ২ বার ডিজাইন পরিবর্তনের কারনে কাজ শরু করতে সময় একটু বেশিই লেগেছে। ২/১ মাসের মধ্যেই কাজটি সমাপ্ত করে হস্তান্তরের জন্য চেষ্টা করছি আমরা।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন