শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিমিয়ে পড়েছে সিটি করপোরেশন, ভয়ংকর রূপ নিতে পারে ডেঙ্গু

করোনার মধ্যেই রাজধানীতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে ডেঙ্গু। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বড় আঘাত হানতে পারে মশাবাহিত এই রোগটি, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে করোনার আতঙ্কে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মশা নিধনের কার্যক্রম। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেইন নালা সঠিক ভাবে হচ্ছে না পরিষ্কার। ফলে এলাকায় বেড়েছে মশার উৎপাত আর এই সময় দেখা মিলছে না মশার ওষুধ স্প্রে করার সিটি করপোরেশনের লোকদের। কাগজে কলমে সিটি করপোরেশনের মশা নিধন হলেও বাস্তবে তা অকার্যকর।

তাছাড়া করোনা কারণে এখন বন্ধ রয়েছে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে শুরু করে নির্মাণাধীন ভবনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর এতে করে বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মের উৎকৃষ্ট স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে জায়গা গোল।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশন বলছে মশা নিধনে রয়েছে  আমাদের বাড়তি নজরদারি। প্রত্যেক ওয়ার্ড কমিশনারদের সাথে এ বিষয়ে আমার একাধিকবার আলোচনা করেছি। তবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক জায়গায় মশার কীটনাশক ছিটানো যাচ্ছে ।

গত মার্চ থেকে সিটি করপোরেশন, সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ সবাই ব্যস্ত কোভিড-১৯ বা করোনা মোকাবিলায়। ঋতুচক্র অনুযায়ী হচ্ছে বৃষ্টি। আর এ বর্ষাতে বাড়ছে এডিসের ঝুঁকি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মাসে এ পর্যন্ত ২৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে শুধু এপ্রিল মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম। আর এটি ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষা না করার কারণে হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ  একদিনে রেকর্ড মৃত্যু ৪২, আক্রান্ত ২৭৪৩

হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৩৮ জন । যেটি ২০২০ সালে হয় ১৯৯ জন। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ১৮ জন। যেটি ২০২০ সালে হয় ৪৫ জন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ছিল ১৭ জন, যেটি ২০২০ সালে হয় ২৭ জন। শুধু এপ্রিল মাস ২০১৯ সালে ছিল ৫৮ জন। কিন্তু ২০২০ সালে সেটি মাত্র ১৯ জনে নেমে আসে।

মশা নিয়ে কাজ করেন এমন গবেষকরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে করোনার সাথে বাড়তি বিড়ম্বনা যুক্ত করবে ডেঙ্গু। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, এডিস মশার জরিপে এবার দেখা যায়, চলতি বছর এডিস মশার ঘনত্ব গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

ডিএসসিসি কাউন্সিলর আতিকুর রহমান আতিক জানান, এখন বর্ষার মৌসুম, তারপরও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে সবকিছু পূরণ করতে পারছি না।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন