ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাকে জয় করে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা

টানা ২২ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বাবা-ছেলে। রবিবার (৩ মে) দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেন লালমনিরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল হক।

জানা গেছে, প্রথমে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোকন্দ দীঘির পাড় (গুড়িয়াদহ) এলাকার এক ব্যক্তি (৩৭) করোনায় আক্রান্ত হন। মূলত তিনি নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকের কাজ করতেন। বাড়িতে আসার পর তার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে।

এরই মধ্যে তার সংস্পর্শে থেকে ৭ বছরের ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়।

ডা. দোলন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী করোনা রোগী সুস্থ হওয়ার পর ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি নমুনা টেস্ট করতে হয়। দুটি রিপোর্টই নেগেটিভ হলে বাড়িতে পুনরায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়। সেই নিয়ম অনুসরণ করে আজ তাদের রিলিজ দেয়া হলো।

জেলা সদর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফেরত শ্রমিক কামরুল ইসলামের শরীরে গত ১০ এপ্রিল প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

কামরুল ইসলাম জেলার প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। এর দুই দিন পর তার সংস্পর্শে আসা বাড়িতে থাকা তার ৭ বছর বয়সী ছেলে সালমান হোসেনের শরীরেও করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। সালমান হোসেন জেলার দ্বিতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী।

পিতা-পুত্র দু’জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হয়। ১৪ দিন চিকিৎসা গ্রহণের পর তাদের দু’জনেরই দ্বিতীয়বার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরুলের দুটি এবং তার ছেলে সালমানের একটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। অপেক্ষা ছিল শিশু সালমানের আর একটি রিপোর্ট আসার। সবশেষ শনিবার বিকেলে সালমানের অপর রিপোর্টটিও নেগেটিভ আসে। ফলে জেলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ও দ্বিতীয় রোগী এখন করোনামুক্ত ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলো।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এন এম নাসির উদ্দিন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন