মঙ্গলবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 তিন দিনেই বন্ধ হয়ে গেল পণ্যবাহী বিশেষ ট্রেন

মাত্র তিন দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল সদ্য চালু হওয়া পণ্যবাহী ট্রেনের এই বিশেষ সার্ভিস।  তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি ঢাকা-খুলনা রুটে চালানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও শুক্রবার (০১ মে) চালুর প্রথমদিন থেকে রবিবার (৩ মে) পর্যন্ত ট্রেনটি একবারও যাত্রা করেনি। এদিকে ইঞ্জিন স্টার্ট হওয়ার আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হলো খুলনা রুটের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ পণ্যবাহী ট্রেন।

তিনদিন চললেও সোমবার (৪ মে ) থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন আর চলবে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

কারোনার এই সময় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১ মে থেকে চালু করা হয় পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্য কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী ছাড়াই সরাসরি ঢাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা নায্য দাম পাবেন অন্যদিকে খাদ্য সংকটও কাটবে এমন উদ্দেশ্য থেকে চালু হলেও তিনদিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস।

খুলনা স্টেশনের ম্যানেজার বুলবুল জানান, কৃষক, খামারি কিংবা প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল ধান চাল পরিবহনের জন্য পার্সেল এক্সপ্রেস চালু করা হলেও খুলনা স্টেশনে এক কেজি বেগুন নিয়েও কোনো কৃষক আসেনি। ফলে তিনদিন অপেক্ষা করা হয়, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে পণ্যপরিবহনে চাষি তো দূরের কথা অন্য কোনো ব্যবসায়িক পণ্য নিয়েও স্টেশনে আসেনি ট্রেন। ফলে ৩ মে খুলনা ঢাকা রুটের বিশেষ পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী জানান, তেল খরচ ও রেলওয়ে কর্মচারীদের মাইলেজ প্রদান করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেনে আপ ডাউনে খরচ হয় ১ লাখেরও বেশি। কিন্তু এই ট্রেন থেকে প্রতিদিন আয় হয়েছে মাত্র ১০/১২ হাজার টাকা। প্রতিটি পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেনে আপ ডাউনে লোকসান হচ্ছে ৮০/৯০ হাজার টাকা। তাই এটা বন্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মোল্লাহাটে র‌্যাবের অভিযানে ইয়াবা, নগদ টাকাসহ মাদক কারবারি আটক

আনন্দবাজার/রনি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন