তিন দিক থেকে ভারত বেষ্ঠিত দেশের উত্তরের উপজেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এখন পর্যন্ত কোন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি। তবে বাইরে থেকে ফেরত লোকদের কারণে মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার আড়াই লক্ষ মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য তিন জন মৃত ব্যাক্তির নমুনাসহ এ পর্যন্ত ৫০ টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ৩৭টি ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এ ছাড়াও সরকারি কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে থাকা ৩৭ জন ব্যক্তির মধ্যে প্রথম ১৪ জনের পাঠানো নমুনাও নেগেটিভ এসেছে।
জানা গেছে , ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের করোনা মহামারী প্রবণ অঞ্চল থেকে এখনও প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে মানুষ গ্রামে ফিরছেন। বিপুল সংখ্যক এসব মানুষকে যথাযথভাবে কোয়ারান্টাইনে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভূরুঙ্গামারীকে করোনা মুক্ত রাখতে, ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে আসা মানুষগুলোকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা এবং সর্বসাধারণকে সচেতন করার জন্য উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন,থানা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্টজনের সাথে কথা বললে তাদের অনেকেই বাইরে থেকে নিজ এলাকায় ফেরা এসব লোকজনদের বিষয়ে বলেন, বিপদকালে পরিবারের কাছে ফিরে আসা অন্যায় কিছু নয়। তবে তাদেরকে কঠোর নজরদারিতে রাখা দরকার এবং যারা ফিরছেন তাদেরকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রেখে নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানান।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে প্রাথমিক কোয়ারান্টাইনে ৩৭ জনকে রাখা হয়েছে। এছাড়াও ১০ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের পাঠানো তালিকা অনুসারে এ যাবত উপজেলায় বহিঃ ফেরত লোকের সংখ্যা সহস্রাধীক।
তাছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে এখনও প্রতিদিন বহু মানুষ এলাকায় ফিরছেন। তাদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখতে পুলিশ সর্বাত্বক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মানুষের সহায়তা চান তিনি।
আনন্দবাজার/শাহী