দীর্ঘ দিন বন্ধের পর আজ থেকে শুরু হয়েছে রূপালি ইলিশ ধরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় শেষ হয় এই নিষেধাজ্ঞা। এই সময়ে ঝাটকা ইলিশ না ধরায় বর্তমানে জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ এমনটা ধারণা করছে অনেকেই।
গত দুই মাসের জন্য মাছ ধরতে না পেরে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনাপাড়ের জেলেরা দুর্ভোগে ছিলেন। তবে এই দুর্ভোগ আর দুর্দশা কাটিয়ে আবারো নদীতে মাছ ধরতে গেছে জেলেরা। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বড় বড় ইলিশ।
জাটকা মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণের জন্য দুই মাসব্যাপী ছয়টি অভয়াশ্রমে সবধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি পয়েন্ট চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা। এর ফলে মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাস বন্ধ থাকার পর, আগামীকাল থেকে আবারো এই জনপদের অর্ধ লক্ষাধিক জেলে নদীতে গেছে মাছ ধরতে।
জেলে আমির গাজী বলেন, অনেক কষ্টে ছিলাম গত দুই মাস। সরকারি যে চাল পেয়েছি তা দিয়ে মাত্র ১০ দিন চলেছে। তারপর যে অন্য কাজ করে আয় করব সেই পরিস্থিতিও ছিল না। কারণ, করোনা আতঙ্কে অর্ধাহারে অনাহারে ঘরেই কেটেছিল। এতে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে কষ্টের সীমা ছিল না।
প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও একেকজন জেলে চাল পেয়েছেন ৩২-৩৫ কেজি। চালের বিষয়ে জেলেদের এমন অভিযোগ স্বীকার করে একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার সীমাবদ্ধতার কথা জানান
ইলিশ গবেষক, বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী, চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এবার আরো বেশি পরিমাণ ইলিশ আহরণ করতে পারবে জেলেরা। ফলে গত বছরের ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশের উৎপাদন ছাড়িয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত হবে।
আনন্দবাজার/রনি