বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের ক্রান্তিলগ্নে যুদ্ধের অগ্রসৈনিক মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বড়ই প্রয়োজন।
প্রাণঘাতী করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজটি করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের অকুতোভয় অগ্রসৈনিক বললেও ভুল হবে না। এরই মধ্যে সারাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন টেকনোলজিস্ট। সরকারি হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদ আছে প্রায় ৮ হাজার। এর মধ্যে এখনো ২৭৩৬ টি পদ শুন্য রয়েছে। আইনি জটিলতায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই পদে নেই কোন নিয়োগ।
স্বাধীনতা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের (স্বামেপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জনাব আবু সাঈদ জানান, বর্তমানে দেশে আনুমানিক ৭০ হাজার ডাক্তার করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এর রেফারেন্স অনুসারে দেশে সাড়ে তিন লক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দরকার। তিনি জানান, বর্তমানে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোয়ালিফাই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ডিগ্রিধারী হয়ে বেকার বসে আছেন। সেখানে কর্মরত অল্পসংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে মহামারী ঠেকানো খুব কঠিন এবং প্রায় অসম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, এরইমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ও টিকাদান কর্মসূচির জনবল দিয়ে নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক দিনের প্রশিক্ষণেই কাজটি করবেন তারা।
মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা জানান এ সিদ্ধান্ত হতে পারে মারাত্মক আত্মঘাতী। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দাবি, যারা মেডিকেল টার্ম পড়েনি, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি পড়েনি, ট্রাকিয়া কোনটা তারা যদি না চেনে, শুধু থুতু নিয়ে চলে আসে তাহলে পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করলে সেখানে ফলস নেগেটিভ আসবে। এর চেয়ে পরীক্ষা না করানোই অনেক ভালো এবং এতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অবহেলা করে কখনোই করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়। করোনা চিকিৎসায় কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্সদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দাবি এমন সুযোগ-সুবিধা তাদেরও প্রাপ্য় অধিকার।
আনন্দবাজার/শাহী