করোনাভাইরাসের কারণে দেশে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে সর্বস্তরের মানুষের কাজ-কর্ম। এছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে থেমে নেই ছাত্ররা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হলেও অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
করোনা পরিস্থিতিতে অসহায়দের পাশে দাড়ানোর উদ্দেশ্যে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় একদল শিক্ষার্থী তৈরি করলো তাদের সংগঠন ‘হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সোনাগাজীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিনমজুর থেকে শুরু করে মুখ ফুটে বলতে না পারা মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যেও পাঠিয়ে দিয়েছে সাহায্য।
গত ০২ এপ্রিল ১৩০টি পরিবারের মধ্যে ১০ দিন চলার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাঠায় সংগঠনটি। এছাড়া আজ বুধবার সোনাগাজী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় তরুণদের এই সংগঠন ‘হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে পথচারী, শ্রমজীবী ও কর্মহীন মানুষদের মাঝে ১৫০ প্যাকেট ইফতার বিতরণ করা হয়।
হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মুন্না চন্দ্র দাশ বলেন, আসলে ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসায় বসে আছি। একদিন রাতে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বারেক স্যারের একটি সংগঠন চোখে পড়ে। সংগঠনের নাম “সঙ্গে আছি”। এটা দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হই আর সাথে সাথে ইচ্ছা জাগে কিছু করার। সেই রাতেই আমি আমার বন্ধু বিজয়কে জানালে সে একমত পোষণ করে। পরে বাকি সব বন্ধুদের জানাই এবং সবাই এমন ভাবে রাজি হয়েছিলো যেন তারা আগে থেকেই প্রস্তুত।
মুন্না আরও বলেন, আসলে আমার বন্ধুদের সহযোগিতা আর আমাদের এই কাজে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে যারা যুক্ত ছিলো তাদের কারণেই আমরা এখন সফলতার মাধ্যমে কাজটি করতে পারছি এবং সামনে মে মাসের ১০ তারিখে আরো ১০০ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রি তুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলতেছে।
উল্লেখ, রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের যোগাযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের ছাত্র মুন্না চন্দ্র দাশ।
আনন্দবাজার/ পুষ্প