সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে করোনা বিষয়ে সরকারি চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে ফেসবুকে লেখার কারণে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসকের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার পর পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভৈরব থানায় মামলাটি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ। তিনি উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব। সেই রাতেই পুলিশ সাংবাদিক এম আর রুবেলকে তাঁর ভৈরব উত্তরপাড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ছিলেন।
দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে করোনা সংক্রমণ শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারে। একইসাথে সেটি আবার আইসোলেশন ইউনিট হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত কয়েকজন রোগী ওই সেন্টারে চিকিৎসাধীন। করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো আছে, সুরক্ষাসামগ্রী না পরিধান করে কেউ ভেতরে যেতে পারবেন না। কিন্তু সাংবাদিক রুবেল বুধবার সকালে কোনো ধরণের অনুমতি ছাড়াই সেন্টারের ভেতরে যান।
সেন্টার থেকে ফিরে এসে ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা করে নিজের ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশ করেন। একইসাথে মামলার বাদী বুলবুল আহমেদকে উদ্দেশ্য করেও পৃথক লেখা প্রকাশ করেন। এর ফলে উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যক্রম নিয়ে সবার মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়।
তবে পুলিশ হেফাজতে সাংবাদিক এম আর রুবেল জানান, ‘আমার লেখায় কোনো ভুল ছিল না। মানুষের ভালোর কথা চিন্তা করেই লিখেছিলাম।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, মামলটি দায়ের করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১ ধারায়। বর্তমানে রুবলেকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী