বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্সসহ অভিজ্ঞ সকলেই এ কাজে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছায় এ কাজের জন্য নিজেকে সমর্পণ করেছেন হাসপাতালের কনিষ্ঠ টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদার।
বিভূতিভুষণ হালদারের সাথে নির্ভয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আরেকজন করোনা যোদ্ধা অফিস সহায়ক আব্দুল্লাহ আল বায়জিদ। শেবাচিমের মাইক্রোবায়লোজি বিভাগে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৯ দিন ধরে কাজ করছেন বায়জিদ। করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ল্যাব পর্যন্ত নেয়ার কাজ তিনি একাই করছেন।
হাসপাতালের অধিকাংশ স্টাফ যখন করোনা ওয়ার্ডে যেতে অস্বীকার করছেন সেখানে বায়জিদের এগিয়ে আসা মানব সেবার দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই। বায়জিদ এর এই বীরত্বের জন্য তার পাশে দাঁড়িয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে শেবাচিম এর অফিস সহায়ক আব্দুল্লাহ আল বায়জিদকে উৎসাহ প্রদানের জন্য ১০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড এবং শুভেচ্ছা স্বরূপ রকমারি ফলের ঝুড়ি প্রদান করা হয়েছে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান এর পক্ষ থেকে এই উৎসাহ প্রদানের জন্য শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসন এর সহকারী কমিশনার ও এনডিসি বরিশাল রবিন শীষ।
বায়জিদের পদ অফিস সহায়ক হলেও সে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। বরিশালের এডভান্স ইনস্টিটিউট অব হেলথ এন্ড ডেন্টাল টেকনোলজি থেকে ল্যাবরেটরি মেডিসিনের উপর ডিপ্লোমা করেছেন তিনি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস