ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা যুদ্ধজয়ের গল্প শোনালেন এক তরুণ

করোনা থেকে বেঁচে ফিরা যুদ্ধজয়ের গল্প শুনিয়েছেন সাতকানিয়ার ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ রুমন।  তিনি তাঁর ফেসবুকে ‘করোনা মানেই মৃত্যু নয়, সচেতনতায় মিলে মুক্তি’ এমন শিরোনামে তাঁর বেঁচে ফিরা গল্পটি তুলে ধরেন।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামে ১২ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫ জনই সাতকানিয়ার। যাদের মধ্যে রয়েছে রোমনসহ সুস্থ হওয়া তিনজন। মাত্র ১৪ দিনেই সুস্থ হয়ে জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে বাড়ি ফিরেছেন তার।

বুধবার দেড়টার দিকে করোনা-জয়ের সেই গল্পটি ফেসবুকে শেয়ার করেন রোমন। সাতকানিয়া থানাধীন, পশ্চিম ঢেমশা আলিনগর গ্রামের হতভাগা পাঁচ করোনা রোগীর গল্প উপ শিরোনামে রোমন লিখেন, চট্টগ্রাম জেলায় ‘প্রাণঘাতি করোনা’ যুদ্ধ জয় করা সাতকানিয়র প্রথম তিনজন আমরা।

দীর্ঘ ১৪ দিন লড়াই করেছি প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সাথে। তিনবার নমুনা পরীক্ষার পর, অবশেষে আল্লাহর রহমতে করোনা যুদ্ধ জয় করে আমরা তিনজন ঘরে ফিরছি। আশাকরি অন্যরাও দুই একদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। আমাদের এই যুদ্ধ জয় সহজ ছিলো না। প্রতিটা দিন আমরা মৃত্যুভয়ের মধ্যে ছিলাম। অপ্রিয় হলো সত্য, সবাই আমাদের ঘৃণা করা শুরু করছিলো। যেন আমরা মহা কোনো পাপকাজ করেছি।

‘উপলব্ধি করেছি, বাস্তবতা কতই নিষ্ঠুর, করোনায় রোগী মরার আগে, মানুষের ঘৃণা অবহেলায় হাজারবার মরে। কারো করোনাভাইরাস হয়েছে, তার মানে এই নয় যে, সে বিশাল কোনো পাপ করে ফেলেছে। করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে আমদের পাঁচ জনকে যেদিন বাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, আমাদের মনটা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিলো আজ মনে হয় বাড়ির শেষদিন, হয়তবা আর কোনোদিন পরিবার পরিজন কারোর সাথে দেখা হবে না, আর কোনোদিন বাড়ি ফেরা হবে না।’

‘হতভাগা কাকে বলে সেদিন বুঝেছি, সেনাবাহিনীর এম্বুলেন্সে করে শহরে পৌঁছাতে পারিনি, খবর এলো আমাদের পাঁচজনের বাড়িঘর ভাংচুর ও বাড়ির লোকজনদের উপর হামলা হয়েছে। অপরাধ, পাপিষ্ঠ করোনা রোগীর । দুঃখে, কষ্টে, কাঁন্নায় বুক ফেটে গেছে।’

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছার পর আশার আলো দেখালেন কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স…। বলেন মো. রোমন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন