ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনের ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না, ডোজ বাড়িয়ে দেয়ার পরও ওষুধে কাজ হচ্ছে না; আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। একইসঙ্গে তারা জানায়, ওষুধ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তারা।
বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে। গত ২২শে জুলাই দুই সিটির পদক্ষেপ সম্পর্কিত আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছিল। তবে ওই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট।
সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনে কেন কার্যকর ওষুধ ছিটাতে পারছে না- এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট। এরপর ২৫শে জুলাই দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেয় আদালত। সেদিন ডোজ বাড়িয়ে মশার ওষুধ ছিটনোর পাশাপাশি তার ফলাফলের প্রতিবেদন দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে, ঢাকাসহ দেশের ৫০ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ নিয়ে বছরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৩ হাজার ৬৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৮২ জন।
ডেঙ্গু শনাক্তে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষায় অনিয়ম ও সরকার নির্ধারিত ফি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি ডায়গনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ ল্যাব এইড ও ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শুনানির জন্য ডেকেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, মশক নিধন ওষুধ আমদানির জন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি থাকায় কার্যকর ও পরিবেশসম্মত ওষুধ আনতে সময় লাগছে বলে সোমবার জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তবে, এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সিটি করপোরেশনই ওষুধ আমদানি করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
ডেঙ্গু সামাল দিতে রাজধানীসহ সারাদেশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।