নাজিরপুরের দীর্ঘা ইউনিয়নের মোঃ আসাদুজ্জামান (৭০) গাওখালী বাজারের ফার্মেসি থেকে গত ৮ এপ্রিল নিউরোবিয়ান ভিটামিন নামক ইনজেকশন ক্রয় করেন। ইনজেকশনটি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক শংক পতি আসাদুজ্জামানের শরীরে প্রয়োগ করেন। ইনজেকশন প্রয়োগের কিছুক্ষণ পরই আসাদুজ্জামান মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অবস্থা খারাপ দেখে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসাদুজ্জামানকে নিয়ে আসা হয় ও ৯ তারিখ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে ভর্তি হন।নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসা র জন্য খুলনা মেডিকেলে ভর্তির সুপারিশ করেন।
এদিকে করোনার লকডাউনের কারনে যাওয়া সম্ভব হয়নি খুলনায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানায় নিউরোবিয়ান ভিটামিন ইনজেকশন মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছে ।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হলে নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ইনজেকশনটি ক্রয় করছি গাওখালী বাজারের ভাই ভাই ফার্মেসী থেকে। ভাই ভাই ফার্মেসির মালিক মোঃ মনির ইনজেকশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল না বলে দাবি করেন। আসাদুজ্জামান দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তে আসলে যে বক্স থেকে ইনজেকশন বিক্রি করছে সেটা আর আমার কাছে যে ইনজেকশনের বোতল আছে সেটার ব্যাচ নং ১৮c১২ ও বক্সের ব্যাচ নং ১৮i০০০২ দুইটার ব্যাচ নং এর সাথে মিল নাই।
অর্থাৎ ফার্মেসির মালিক অন্য বক্স নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রদর্শন করেন। বক্সের ইনজেকশনের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০২০ আর বোতলের ইনজেকশনের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ মার্চ ২০২০। গোপন সুত্রে যানা যায়, ভাই ভাই ফার্মেসির মালিক মনির কিছুদিন পূর্বে গাওখালী বাজারের পার্থ এর কাছ থেকে পুরাতন ঔষধ ক্রয় করে। এছাড়াও তার নামে অভিযোগ রয়েছে একাধিক পুরাতন ওষুধ ক্রয়ের।
বর্তমানে আসাদুজ্জামান মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় দিনযাপন করছেন। সহায়-সম্বল শেষ করে চিকিৎসা করে এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তার মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
ভাই ভাই ফার্মেসির মালিক মোঃ মনির স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আসাদুজ্জামান নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। এখন আসাদুজ্জামানের অপেক্ষা সুবিচার ও চিকিৎসার।
আনন্দবাজার/শাহী