ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাপাসিয়ায় কৃষকের ধান কাটতে মাঠে আ.লীগ-ছাএলীগ

মহামারি করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে বোরো ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। এদিকে চলতি মৌসুমের আগাম ইরি ও বোরো ধান কাটার সময় হয়েছে। কিন্তু বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখীর আগে পাকা ধান কাটা –মাড়াই ও গড়ে তোলা নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনের সাংসদ জনাব সিমিন হোসেন রিমি এমপি’র কাপাসিয়ার আওয়ামী লীগ, ছাএলীগসহ সহযোগী সংগঠন কৃষকের ধান কাটতে মাঠে নেমেছে।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের ৪, ৫ও ৬নং ওয়ার্ডের দরিদ্র কৃষকের জমির পাকা ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে ঘরে তোলার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ধান কাটার কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঘাগটিয়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ( হিরণ মোল্লা) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এই সময় ঘাগটিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন প্রধান (রতন), সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মাঝি, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ মিয়া,কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য শ্যামল মোল্লা, রাজধানী ঢাকার সরকারী বাঙলা কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাএ মোঃ জাহিদুল ইসলাম ফয়সাল মোল্লাসহ অর্ধ শতাধিক স্থানীয় আওয়ামীলীগ, ছাএলীগ,যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করে। এই কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন আকন্দ।

এই বিষয়ে হারুন অর রশিদ (হিরণ মোল্লা) বলেন, কৃষকরা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। কারণ এই সময়ে অন্য জেলার ধান কাটার শ্রমিকরা আমাদের দিকে আসতে না পারায় কৃষকদের যাতে বোরো ধান কাটতে ও ঘরে তুলতে অসুবিধা না হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সংগঠনের সর্ব স্তরের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বেচ্ছাশ্রমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের ধান কেটে দিতে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের কাপাসিয়া আসনের সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি এমপি’র নির্দেশে আমরা এই আহবানে সাড়া দিয়ে ঘাগটিয়া ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাএলীগের নেতা কর্মীরা ধান কাটায় এগিয়ে এসেছি। ‘যে কৃষক আমাদের ধান কেটে দিতে বলবে,আমরা তার জমিতে গিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিয়ে আসবো’।

তিনি আরো বলেন, প্রথম বারের মতো ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ এবং ছাএলীগের নেতা-কর্মীরা কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিতে পেরেছি এই জন্য আমাদের মনে অনেক আনন্দ লাগছে। আমরা আজ ৫ বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জমির মালিক কৃষক হোসেন আলী বলেন, আমার ক্ষেতের ধান আওয়ামীলীগের নেতারা বিনা ট্যাহায় কাইট্যা দিছে এতে আমি অনেক খুঁশি হয়েছি। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য মন থেকে দোয়া করি এবং ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরো বলেন, আমাগোর কাপাইসার (কাপাসিয়া) এমপি স্যারকে আমি ধন্যবাদ জানাই। কারণ, এমপি স্যারের নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতারা আমার ক্ষেতের ধান কাইট্যা দিছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘাগটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ শাহীনুর আলম সেলিম জানান, কাপাসিয়ার সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি আপার নির্দেশে ইউনিয়নের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের বলেছি, যেই কৃষক তাদের জমির ধান শ্রমিকের অভাবে কাটতে পারবেনা, তাদের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিতে। যাতে করে এই কৃষকদের মুখে হাসি ফোটে।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এই ভাবে যদি স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়, তাহলে কৃষকরা যেমন খুঁশি হবে, তেমনি তারা তাদের কষ্টার্জিত ধান গোলায় ওঠাতে পারবে। আমি এই স্বেচ্ছাশ্রমের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। আমি চাই স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এই কার্যক্রম যেন আওয়ামীলীগ, ছাএলীগসহ সকলেই অব্যাহত রাখে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন