ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকঘর খোলা রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যশস্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদাররা ডাকঘরের মাধ্যমে রেজিস্টার্ড ইনভয়েস প্রাপ্তির পর বিল তুলেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত মাসে ডাকঘরের মাধ্যমে ইনভয়েস বিলি না করায় ঠিকাদাররা পড়েছেন অর্থ সঙ্কটে। এ কারণে ডাকঘর খোলা রাখার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সারাদেশের সকল জেলা ও বিভাগীয় ডাকঘরগুলো সাপ্তাহিক কর্মদিবসে তিন ঘণ্টা খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়, ডাকঘর তিন ঘণ্টা করে খোলা রাখলে খাদ্য বিভাগের রেজিস্টার্ড ডাকগুলো নিয়মিত বিতরণে সমস্যা থাকবে না।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খাদ্যশস্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রেরণ কেন্দ্র কর্তৃক ইনভয়েসের ৪র্থ কপি রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রাপক কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে পুনরায় ইনভয়েসগুলোর ২য় ও ৪র্থ কপি রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রাপক ও প্রেরণ কেন্দ্রের জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। গত এক মাস যাবৎ ডাক বিভাগ এসব রেজিস্টার্ড ডকুমেন্ট বিতরণ না করায় খাদ্য বিভাগের পরিবহন ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করা হচ্ছে না। ঠিকাদাররা অর্থ সংকটে পড়ায় খাদ্য সংক্রান্তু জরুরি পরিবহন ব্যবস্থা হুমকিতে পড়ছে।

তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেফায়েত হোসেন জানান, গত ২৮ মার্চ থেকে দেশের সকল ডাকঘর খোলা আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় হয়তো বিষয়টি জানে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীম হাসান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাকঘর সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে পরিবহণ ঠিকাদারদের বিল তোলার বিষয়ে অভিযোগ আসার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদি সকল ডাকঘর খোলা থাকে তাহলে ভালো। আমরা সতর্ককতামূলক অবস্থান থেকে চিঠি দিয়ে রেখেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন