ক্ষুধার্তদের সংখ্যা বাড়ছে রাজধানী ঢাকায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে খাবারের জন্য ভিড় করছেন অসহায় হতদরিদ্ররা। তাদের অভিযোগ কিছু বিত্তবান ও সামাজিক সংস্থা এই দুঃসময়ে এগিয়ে এলেও পাশে পাচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিদের। তবে কাউন্সিলররা বলছেন, সাধারণ ছুটির ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও সামান্য কিছু খাদ্য বরাদ্দ দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন কিছু ওয়ার্ডে দেওয়া বাকি রয়েছে।
রাজধানীর বস্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কড়াইল বস্তি। এখানে প্রতিদিন খাবারের অপেক্ষায় থাকেন সেখানকার বাসিন্দারা। কখন আসবে খাদ্য সহায়তা অথবা ১০ দশ টাকা কেজির চাল। অপেক্ষা চলতেই থাকে, হয়তো তিন/চার দিন পর কেউ আসে সহায়তা নিয়ে।
সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, তিন ধরে বসে আছি চাল আর আসে না। ১০ টাকা কেজি চাল পাওয়ার জন্য মানুষ দিনের পর দিন এসে বসে থাকে। এদিকে চালের কোনো খবর নাই।
আরেক বাসিন্দা বলেন, বাসা-বাড়িতে কাজ করে খাই। কিন্তু করোনার ভয়ে মানুষ এখন দরজা খুলে না।
শুধু বস্তিবাসীই না, করোনাভাইরাসে বিপাকে পড়েছে অনেক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারও। তারা না পারছে সাহায্য চাইতে আর না পারছে পেটের ক্ষুধা দমিয়ে রাখতে। তাদের অভিযোগ দুর্যোগের সময় পাশে পাচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিদের।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড রয়েছে ১২৯টি। এ বিষয়ে কাউন্সিলররা বলছেন, ওয়ার্ডভিত্তিক যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা পরিমাণে খুবই সামান্য। সাধারণ ছুটির ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও কিছু ওয়ার্ডে এখনও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়নি।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, আমি দুঃখিত, যেভাবে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলাম, প্রাণ ও সিটি গ্রুপ তারা আলু সংকটে খাবার দিতে পারছে না। দুই তিন দিন পরে সব পেয়ে গেলেই আমরা বাকি ওয়ার্ডগুলোয় দিয়ে দেবো।
তবে নাগরিকদের দুর্ভোগের শুরু থেকেই এগিয়ে এসেছেন বেশকিছু বিত্তবান ও সামাজিক সংগঠন। তবে সেটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
আনন্দবাজার/তা.তা