করোনা ভয়াবহতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সম্প্রতি শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউপির নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা বিধবা অমৃতবালা দাসকে (৯০) করোনা রোগী সন্দেহে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। গত রবিবার (১২ এপ্রিল) ওই বৃদ্ধা নারীকে গ্রাম ছাড়া করার পর থেকে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তিনি নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত অক্ষয় দাসের স্ত্রী। তার দুই ছেলে যোগেশ দাস ও রণধীর দাস। অমৃতবালা দাস জানান, ঢাকা থেকে গ্রামে কে আসছে আর আমার ছেলেরা বলে আমি এদের বাড়িত গেছি। এ কারণে আমারে করোনা বলে ঘর থেকে বাহির করে দিয়েছে।
এদিকে উপজেলার মহিলা মেম্বার জ্যোৎস্না রাণী দাস বাধা দিলে তার কথাও শোনেনি অমৃতবালার ছেলেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন জানান, আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং তার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পাঠাবেন বলেও জানান তিনি।
নিয়ামতপুর গ্রামে সম্প্রতি ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে আসেন অমরচাঁদ দাস। তারা বর্তমানে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১২ এপ্রিল কে বা কারা যেন গুজব ছড়ায় ওই বৃদ্ধা নারী তাদের বাড়িতে চা পান করেছেন। তারপর থেকেই তার ছেলেরা ও পাড়া প্রতিবেশী তাকে গ্রাম ছাড়া করে দেয়।
অবশ্য সামাজিক ও প্রশাসনিক চাপের মুখে পরে ছেলেরা অবশেষে মায়ের দায়িত্ব নিয়েছেন।
আনন্দবাজার/শাহী