সেন্টমার্টিনে এক জেলে মারা যাওয়ার পর প্রায় ৪ ঘন্টা পরে ছিল তার মৃতদেহ। করোনাভাইরাসে মৃত্যু ভেবে লাশের কাছে যায়নি কেউ। এমনকি এগিয়ে আসেনি আত্মীয় স্বজনেরাও। পরে পুলিশের তত্বাবধানে জানাজা শেষে মৃতদেহ দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সেন্টমার্টিনের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ঐ জেলের নাম মোহাম্মদ সলিম (৪৮)। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে দ্বীপের পশ্চিমপাড়াতে বসবাস করতেন। সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়ার মো. হারুনুর রশিদের মালিকানাধীন ফিশিং বোটের মাঝি ছিলেন তিনি। ফিশিং বোট মালিক হারুনুর রশিদ জানান, দীর্ঘবছর ধরে তার ফিশিং ট্রলারে মাছ ধরার কাজ করেন সলিম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু বক্কর বলেন, স্থানীয়ভাবে ডাক্তার দেখাতে সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ি থেকে সলিম সকাল ৮টায় বের হন। কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায় জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে রাস্তায় পড়ে যান তিনি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সলিম করোনা আক্রান্ত নন। কিন্তু এখন মানুষ মরলেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ভয়ে আশপাশে কেউ আসে না। স্থানীয়রা করোনা আক্রান্ত ভেবে লাশটি কেউ ধরেননি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস