শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওৎ পেতে আছে ডেঙ্গু

পুরো বিশ্ব এখন করোনা নীল ছোবলে লন্ডভন্ড। বাংলাদেশও বাদ যায়নি। আর এরই মধ্যে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে ডেঙ্গু। দুটোই ভাইরাসজনিত রোগ। আর এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের আলাদা প্রশিক্ষণের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সন্দেহ হলেই রোগীদের পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।

এইদিকে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মৌসুম শুরুর আগে ডেঙ্গু আক্রান্তের এ সংখ্যা উদ্বেগজনক। বৃষ্টি হবার পরেই কিন্তু পাত্র তৈরি হয়ে গেছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকাতে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এডিস মশা বাড়া শুরু করবে। বৃষ্টি বাড়বে এডিস মশার ঘনত্বও বাড়া শুরু করবে। যদি আগাম পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে এবারও পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, এবছর জুলাই-আগস্ট মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার পাশাপাশি তাই ডেঙ্গু মোকাবেলা করাও প্রয়োজন, এমনটা না হলে দেখা যাবে করোনাকে প্রতিরোধ করতে যেয়ে আমরা ডেঙ্গুকে ভুলে গেলাম আর সেখানে অনেক ডেঙ্গুরোগী হয়ে গেল।

অন্যদিকে দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গু এবং করোনার উভয় ক্ষেত্রেই মূল উপসর্গ জ্বর। গলাব্যাথা করোনায় থাকলেও ডেঙ্গুতে নেই। আবার করোনায় বমিভাব থাকলেও এই উপসর্গ নেই ডেঙ্গুতে। ডেঙ্গুতে শরীরে র‌্যাশ দেখা দিলেও করোনায় তা দেখা যায় না। ডেঙ্গুর মাথা ব্যথা হয় চোখের পেছনের দিকে, করোনায়হয়ে থাকে স্বাভাবিক মাথাব্যথা। ডেঙ্গুতে শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হলেও করোনায় নেই এই উপসর্গ। করোনায় ক্রমে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে শুকনো কাশি, যদিও ডেঙ্গুতে তা হয় না।

আরও পড়ুনঃ  ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ-সুইস গেট পাহারায় গ্রামবাসী

দুটোই ভাইরাসজনিত জ্বর হলেও চিকিৎসকরা বলছে এই উপসর্গের মাধ্যমে সহজেই তারা এই দুই জ্বরকে পৃথক করতে পারেন। চিকিৎসকরা বলছেন, দুটোতেই জ্বর হাই গ্রেডে থাকে। তবে অন্য উপসর্গগুলো থেকে সহজে আলাদা করা যায়। ডেঙ্গুতে বেশি উপসর্গ থাকলেও করোনায় শুধু হাচি-কাশি-গলাব্যথা থাকে।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মেডিকেল কলেজ সবখানেই বিশেষ প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু কিংবা করোনা যেকোনো উপসর্গেই তাদের দ্রুত পরীক্ষার আওতায় আনা জরুরি। তাছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষাও সুলভ করার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনের কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন