শবে বরাতের আজিমপুর কবরস্থানে সুনসান নীরবতা
শবে বরাতেও আজিমপুর কবরস্থানে নেই মানুষের ভিড়। নেই নিকটাত্মীয়দের কবর জিয়ারত করতে আসা মানুষের ঢল। মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকার সকল কবরস্থানে লোক সমাগম করতে নিষেধ করা হয়েছে। যেকারণে কবর জিয়ারত করতে আসছেন না কেউ, আর আসলেও ফিরে যেতে হচ্ছে দোয়া করতে না পেরেই।
বৃহস্পতিবার সারাদিনই নিষেধের ব্যাপারে না জেনে কেউ কেউ চলে এসেছেন প্রিয়জনের কবর জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে।
‘ভাই গেটটা একটু খোলেন। শবে বরাতের এই ভালো দিনে বাবার কবরটা জিয়ারত কইরা এক্ষুণি চইল্যা আমু।’ দুপুরের দিকে আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে তালাবদ্ধ প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে অনুনয়-বিনয় করে এ কথা বলছিলেন বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা এক তরুণী গৃহবধূ। এ সময় নিরাপত্তারক্ষী অসহায় ভাবে তরুণীকে জানান তার অপারগতার কথা। উপরের নির্দেশের কারণে সে কাউকে প্রবেশ করতে দিতে পারবে না।
গেটে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরে কবরস্থানের বাইরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দোয়া-দরুদ পাঠ করে মোনাজাত করে চলে যান ওই গৃহবধূ, তার স্বামী এবং ছোট বোন।
আজিমপুর কবরস্থানের সহকারী মোহরার নুরুল হুদা বলেন, অন্যান্য বছরের শবে বরাতের দিনের সঙ্গে আজকের শবে বরাতের দিনের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। অন্যান্য বছর কাকডাকা ভোর থেকে আজিমপুর কবরস্থানে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের কবর জিয়ারত করতে আসেন সবাই।
কবরস্থানের ভেতরে গিয়ে দেখা গেল শুনশান নীরবতা। ভরদুপুরেও দেশের অন্যতম বৃহৎ কবরস্থানে বিরাজ করছে গা ছমছম পরিবেশ। নেই স্বজনদের আনাগোনা, নেই দোয়া-দুরুদ পড়ে জিয়ারতের আয়োজন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস