রাজশাহীর চারঘাট ইউনিয়নের সাহায্য চাইতে গিয়ে স্থানীয় মেম্বারের লোকজনের প্রহারের শিকার হলেন স্বামী পরিত্যক্তা রেজিয়া বেগম নামের এক নারী। বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চারঘাট ইউনিয়নের চাদপুর কাকরামারী ঘোষপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রেজিয়া বেগম (৪৫) নামের ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে আহত রেজিয়া বেগম ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত রেজিয়া বেগমের বোনের মেয়ে রিমা জানান, মঙ্গলবার সকালে রেজিয়া বেগম ইউপি সদস্য নৈয়ব আলীর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত নাজমুল হকের কাছে গিয়েছিলেন ত্রাণের স্লিপ আনতে। এসময় নাজমুল হক তাকে স্লিপ দেয়নি। এ নিয়ে ও রেজিয়া বেগমের সাথে একপ্রকার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে স্লিপ না দিয়ে তার শ্যালক বজলু অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। রেজিয়া প্রতিবাদ করলে নাজমুল হক ও বজলুসহ তার পরিবারের সদস্যরা লাঠি সোঠা দিয়ে এলোপাথারীভাবে মেরে গুরুতর আহত করে।
এলাকার স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রেজিয়া বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য নৈয়ব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আসামীরা কেউ সেখানে ছিলেন না। তারা সকলেই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। খুব দ্রুত তাদের আইনের আওয়তায় এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আনন্দবাজার/শাহী