ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় খিরাটী গ্রাম স্বেচ্ছায় লকডাউন

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশেও বেড়ে চলেছে মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে গাজীপুর জেলার প্রায় প্রত্যেকটা উপজেলা সদর ও এর আশপাশের বাজার এলাকাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটী গ্রামের লোকজন তাদের গ্রামকে স্বেচ্ছায় লকডাউন ঘোষনা করেছে।

‘নিজের জীবন রক্ষার্থে নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে’এই স্লোগান কে প্রাধান্য দিয়ে খিরাটী গ্রামের দুটি পাড়ার প্রায় (১০৫ টি পরিবার) অধিবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে তাদের গ্রামের ৪নং ও ৫নং ওয়ার্ড।

এদিকে বিশেষ কোন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ তাদের ঘর থেকে বের হবে না এবং পাড়া থেকেও বাহির হওয়ার পথগুলোও বড় বড় গাছের গুড়িঁ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গ্রামের পথ গুলো। সরেজমিনে দেখতে গিয়ে জানা যায়, খিরাটী গ্রাম উন্নয়ন পরিষদের মহা সচিব এডভোকেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নের্তৃত্বে পুরো পাড়ার অলি-গলিতে ও রাস্তা-ঘাটে জীবানু নাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগরনী টিভির লিগ্যাল এডভাইজার ও খিরাটী গ্রাম উন্নয়ন পরিষদের মহা -সচিব এডভৈাকেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের দুই পাড়া থেকে প্রথমে শুরু করেছি দুই দিনের ভিতরে আমরা আমাদের পুরো খিরাটি গ্রামকে এই লকডাউনের আওতায় এনে ফেলবো। সাড়ে ৬ হাজার লোকের বসবাস এই খিরাটী গ্রামে।

লকডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সর্বএই লকডাউনের ঘোষনা দেন। তারই পরি প্রেক্ষিতে আমরাও আমাদের নিজেদেরকে সেভ রাখার জন্য ১০৫টি পরিবারকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে এসেছি । এক বাড়ির লোক অন্য বাড়িতে যেতে পারবেনা। রাস্তার পাশে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার জন্য পানির ট্যাংক ও সাবান। খিরাটী বাজার থেকে কামারগাঁও অভিমুখি রাস্তা দিয়ে প্রায় সারাদিনে হাজার খানেক সিএনজি, অটোরিক্সা, ভ্যানগাড়ী চলাচল করতো, আর এই লকডাউনের ফলে এখন পুরো গ্রামই যেন শান্ত হয়ে গেছে। এই ভাইরাসের ফলে দেশের পরিস্থিতি যতদিন ভালো না হয় ততদিনই থাকবে আমাদের এই কার্যক্রম।

স্থানীয় যুবক ইসমাইল বলেন, আমরা প্রতিটি পরিবার সচেতনতার সঙ্গেই এই উদ্যোগ নিয়েছি এবং প্রত্যেকটা পরিবার থেকেই সচেতনতা কমিটিতে সদস্য রয়েছেন।
স্থানীয় মেম্বার মোঃ কফিল উদ্দিন শুক্কুর জানান, আমরা আমাদের গ্রামকে এবং নিজেদের করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা করা ও এলাকাবাসী দেরকে রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। তিনি এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন।

এই লকডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহীনুর আলম সেলিম বলেন, আমি এই উদ্যোগকে সর্বসম্মত ভাবে স্বাগত জানাই। তিনি আরো বলেন, আমি চাই আমার ইউনিয়নের প্রত্যেকটা এলাকা যেন লকডাউনের আওতায় চলে আসে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন