বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও তাকে কোনো এ্যাম্বুলেন্স বহন করছে না। হাসপাতালে মিলছে না চিকিৎসা সেবা। এমনকি করোনা রোগী সন্দেহে মৃত্যু হলে গোসল, জানাজা ও দাফন করা নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা। এ অবস্থায় সাভার উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদ বেশকিছু বাড়তি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ৬টি কবরস্থান, দুটি এ্যাম্বুলেন্স। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ম্যান ফর ম্যান’ দায়িত্ব নিয়েছে মৃতের গোসল, জানাজা ও দাফনের।
সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব জানান, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি এ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। ওইসব এ্যাম্বুলেন্স করোনা রোগী বা করোনা হয়েছে এমন সন্দিগ্ধ রোগীদের বহন করবে। এছাড়া করোনায় কারো মৃত্যু হলে দাফনের জন্য ৬টি কবরস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাভার পৌর এলাকার তালবাগ কবরস্থান, পাথালিয়ার দুটি, আশুলিয়ার একটি, তেঁতুলঝোড়ার একটি ও সাভার সদর ইউনিয়নের একটি কবরস্থান রয়েছে। রাজীব জানান, সাভার উপজেলা পরিষদ থেকে করোনা ভাইরাসে বাড়তি প্রস্তুতির জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দু’ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির গোসল, জানাজা ও দাফনের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ম্যান ফর ম্যান’ প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি জানান, হ্যান্ড মাস্ক ও গ্লাভস কেনার জন্য সরকারীভাবে নতুন করে ৯১ হাজার টাকা বরাদ্ধ এসেছে। এ পর্যন্ত সাভারে বরাদ্ধ এসেছে ৩০ টন চাল। সব ইউপি চেয়ারম্যানকে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর উন্নয়ন তহবিল থেকে সরকারী বরাদ্ধ দেয়া ছাড়াও তারা নিজ উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে চলছে ত্রাণ কার্যক্রম। তবুও লোকজনকে বাড়ির বাইরে বের না হতে অনুরোধ জানান তিনি।
আনন্দবাজার/শাহী