সংবাদপত্রের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন গুজবে, সারাদেশে সংবাদপত্রের বিক্রি কমেছে এক তৃতীয়াংশ। কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের ছাপা সংস্করণ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আবার কোনো কেনো পত্রিকার পৃষ্ঠাও কমিয়ে দিয়েছে। এদিকে নেই বিজ্ঞাপন। ফলে করোনার প্রভাবে এক অনিশ্চিত যাত্রায় পত্রিকাশিল্পগুলো।
করোনায় সারাদেশে সাধারণ ছুটির কারণে হকাররা ফেরি করে পত্রিকা বিক্রিঅথবা বাস বা রেলষ্টেশনে পত্রিকার পসরা সাজিয়ে বসবে এমন দৃশ্য মনে করাই দুস্কর হয়ে উঠেছে। একদিকে দেশে অঘোষিত লকডাউন, অন্যদিকে ঘরে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে হকারের হাত থেকে পত্রিকাও নিতে চাচ্ছে না অনেকে।
ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিন ও শেয়ার বিজ কর্তৃপক্ষ তাদের পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যান্য পত্রিকা পৃষ্ঠা সংখ্যা কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। সম্পাদকরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে সংবাদপত্রগুলোর পাওনা অনেক। কর্মীদের বেতন নিয়মিত থাকতে হলে পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকেই।
সম্পাদক পরিষদ বলছে প্রচলিত গণমাধ্যম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে অপ্রচলিত গণমাধ্যম নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, তাই প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
সম্পাদক পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম বলেন, গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধে সরকারকে কিন্তু সাহায্য করে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া হাউজগুলো। এই মিডিয়াগুলোই কিন্তু দুর্যোগকালীন সময়ে সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
সম্পাদকরা বলছেন, মহামারির সংকটে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা যেমন জরুরি, তেমনি সত্যনিষ্ঠ তথ্যসেবাও কম গুরুত্বপূর্ণ
নয়। বাড়িতে ছাপানো পত্রিকা নেয়া বন্ধ করে দিয়ে অনলাইনের ওপর নজর দিচ্ছে মানুষ। এটা ও সত্যি সেই অনলাইগুলো আর্থিক সংকটে আছে করোনার প্রভাবে।
আনন্দবাজার/রনি