করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে সারাদেশের সব মিল কারখানা ও সরকারী বেসরকারি অফিস যখন বন্ধ, এখনও চালু রয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের বেশকিছু কারখানা। মহামারী এ ভাইরাস থেকে সবাইকে মুক্ত রাখতে দ্রুত ইপিজেড বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
শনিবার (২৮ মার্চ) বেলা তিনটার দিকে ইপিজেডের হেয়ার স্টালা কোম্পানির এক হাজার শ্রমিক কাজ বন্ধ করে এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
শ্রমিকরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ঈশ্বরদী ইপিজেডের কয়েকটি কোম্পানি বন্ধ ঘোষণা করে তাদের সমস্ত শ্রমিকদের ছুটি দিলেও বেশ কয়েকটি কোম্পানী এখনো তাদের কারখানা চালু রেখে শ্রমিকদের কাজ করাতে বাধ্য করছে। রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল না করায় শ্রমিকদের এই অবস্থায় ইপিজেডে যাতায়াতে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকরা একসাথে কাজ করাতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈশ্বরদী ইপিজেডে চালু থাকা কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণার দাবি জানান শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঈশ্বরদী ইপিজেডের বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, করোনা আতঙ্কের মাঝেও এখনো উইন্টার ফ্যাশান, তিয়ানী, এমজিএল, হেয়ার স্টালা, নাকানো কোম্পানী ইপিজেডে তাদের কারখানা চালু রেখেছে। অন্যদিকে রহিম আফরোজ, তোয়া, এবা, রুলিং বিডি, রেনেসা সহ কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যেই বন্ধ ঘোষণা করে তাদের শ্রমিকদের ছুটি দিয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ইপিজেডে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে কারখানার কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের বৈঠক হয়েছে শুনেছি। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
হেয়ার স্টালা কোম্পানীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সম্রাট হোসাইন বলেন, শ্রমিকদেরম দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তাদের কোম্পানী আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এফআইবি