সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা অনুসারে করোনা পরিস্থিতি প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (আগামী ২৬ মার্চ) থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিদের্শনা অব্যাহত থাকবে।
রাস্তায় গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত বুধবার থেকেই গণপরিবহন কম দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে জনশূন্য সড়কে কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি এবং মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো গণপরিবহন চোখে পড়েনি। তাছাড়া সড়কের অনেক স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন-এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না।’
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না। কেউ বের হলে তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে। কিন্তু সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত থাকবে।
গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি বা সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালতের জন্য প্রযোজ্য। সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলির জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
আনন্দবাজার/এফআইবি