ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাভারের ফার্মেসিগুলোতে ঠান্ডা জণিত ঔষধের সংকট

ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ফার্মেসিগুলোতে ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। ক্রেতারা তাদের চাহিদা মত ঔষধ পাচ্ছেন না। বিশেষ করে ঠান্ডা জণিত রোগের ঔষধ ও এন্টিবায়োটিক যেন উধাও হয়ে গেছে পাইকারী ও খুচরা দোকান থেকে। এতে করে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ও জীবন রক্ষাকারী ঔষধ কিনতে প্রতিনিয়ত ভীর থাকছে ফার্মেসিগুলোতে। অনেকেই প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আসছেন ঔষধ কিনতে। কিন্তু চাহিদামত ঔষধ ফার্মেসিতে না থাকায় রোগী ও ক্রেতারা বিপাকে পড়ছেন।

ফার্মেসি মালিকদের মধ্যে সাভারের আনিসুল, সোনাম উদ্দিন, আশুলিয়ার দিদার হোসেন ও ধামরাইয়ের সবুজ মিয়াসহ অনেকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, অনেকদিন যাবৎ পাইকারী দোকান থেকে উধাও হয়ে গেছে ঠান্ডা জণিত রোগের ঔষধ। এজিথ্রোমাইসিন বা জিম্যাক্স, সেফ থ্রি, লিব্যাক, ফাইমক্সিল জাতীয় এন্টিবায়োটিক, এমকাস্ট, মনটেয়ার, ফেক্সো, ডক্সিবা, কনটেইন জাতীয় ট্যাবলেট, এমব্রোক্স, হানিবাজ, হিসটাসিন জাতীয় সিরাপসহ এধরনের জরুরী ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। অজ্ঞাত কারনে মিলছেনা অনেক দোকান ঘুরেও এসব ঔষধ।

এদিকে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোবস উধাও হয়েছে প্রায় একমাস যাবৎ। অনেক পাইকারী দোকানদার নিজেরাই কন্টেইনার এনে প্যাকিং করে বেশী দামে বিক্রি করছে এসব পণ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাভারের ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতা জানান, প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে হঠাৎ করেই এ ধরনের ঔষধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানীগুলো। যে কারনে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: সায়েমুল হুদা বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কেউ এন্টিবায়েটিক বিক্রি করতে পারবেন না বলে একটি আদেশ জারি করা হচ্ছে।

 

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন