ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিবচরের ইতালি ফেরত প্রবাসী যেভাবে ছয়জনকে সংক্রমিত করেন

দেশে এখন পর্যন্ত যে ৩৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত চিহ্নিত হয়েছে তার মধ্যে সাতজন একই পরিবারের সদস্য। তারা মাদারীপুরের শিবচরের একজন ইতালি ফেরত প্রবাসীর পরিবারের সদস্য এবং শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়স্বজন।

কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ লঙ্ঘণ করে অসতর্ক চলাফেরা ও আচরণের মাধ্যমে কীভাবে ওই ব্যক্তি এতগুলো মানুষকে সংক্রমিত করেছে তার বিস্তারিত জানিয়েছেন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

শিবচরে এই সংক্রমণ শুরু হয়েছিল দুজন ইতালি ফেরত প্রবাসীর মাধ্যমে। প্রথমে তাদের দুজনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে তাদের একজনের বাবা, স্ত্রী, দুই সন্তান, শ্বাশুড়ি এবং শ্যালকের স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তারা এখন মাদারিপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর ইতালি ফেরত অন্য প্রবাসী, তার বাবা, স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কর্মকর্তা জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনকে ঘরে আটকে রাখাটাই সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক বাড়িতে গিয়েছি, সে বাড়ির সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে আছে। সবার ঘরের ভেতরে থাকার কথা। কিন্তু ঢুকে দেখি সেখান থেকে একজন ফেরিঅলা বের হচ্ছেন। বাড়ির সবাই এই ফেরিঅলার কাছ থেকে কেনাকাটা করছেন।

শিবচরে সংক্রমণ ছড়ানো ঐ প্রবাসী গত ৭ মার্চ বাংলাদেশে এসেছিলেন। এর একদিন পরেই বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু ইতালি ফেরত ওই ব্যক্তি এরপরও তার বাড়ির এবং শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়দের সাথে মেলামেশা বন্ধ করেননি।

১১ই মার্চ ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে মাদারিপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। পরীক্ষা করালে তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েন। এরপরই ঢাকা থেকে প্রতিনিধিদল শিবচরে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিন করে। ধীরে ধীরে পরিবারের বাকী সদস্যদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।পরবর্তী প্রত্যেকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন