ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার পর্যন্ত মারা গেছে ৫ হাজার ৪৭৬ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ১৩৮ জন। গতকাল রোববার মারা গেছেন ৬৫১ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর সব পদক্ষেপ নিয়েছে ইতালি। পুরো দেশ লকডাউন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস–আদালত, কলকারখানা সব বন্ধ। সীমান্ত বন্ধ, বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। রাস্তায় নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। তাহলে প্রশ্ন, এত কিছুর পরও এ অবস্থার মধ্যে পড়তে হলো কেন ইতালিকে? বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিশ্বকে, কোথায় ছিল তাদের ব্যর্থতা, কী শিক্ষা নেওয়া যায় সেখান থেকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইতালি এত পদক্ষেপ নিলেও সময়মতো নিতে পারেনি। আবার সব পদক্ষেপের মধ্যে সমন্বয়ও ছিল না। তারা প্রথমে কোনো একটি শহরকে লকডাউন করেছে, এরপর করেছে একটি অঞ্চলকে এবং সবশেষে পুরো দেশকে। অর্থাৎ ভাইরাস যত ছড়িয়েছে, তারা তত পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আরও বেশি এলাকাজুড়ে। সব সময় তারা ছুটেছে ভাইরাসের পিছু পিছু। ভাইরাসের আগে যেতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতালির বাইরে অন্য দেশগুলোর সরকারও একই ভুল করে চলেছে। কঠিন বা অপ্রিয় সিদ্ধান্ত তারা ঠিকই নিচ্ছে, কিন্তু পরে। যে সিদ্ধান্ত আজ নিলে ফল পাওয়া যেতে পারে, তা নিচ্ছে ১০ দিন পর। তত দিনে তারা সর্বনাশ ডেকে নিচ্ছে ঘরে।
মিলানের সান রাফায়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ভাইরাস বিশেষজ্ঞ রবার্তো বুরিওনির মতে, মানুষও মনে করেছে, কী আর এমন হবে। যার যার কাজ করেছে। আজকের এ পরিস্থিতির জন্য দেশের মানুষের এই মানসিকতাও দায়ী।
আনন্দবাজার/ টি এস পি