শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা : মিরপুরে মৃত ব্যাক্তির কেউ বিদেশ ফেরত নন

মিরপুরের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের কেউ বিদেশ ফেরত ছিলেন না। শনিবার ঐ ব্যাক্তির মৃত্যুর পর তার বাসাকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নির্দেশে বাসাটিকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া ঘটনার পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে আইসিইউর চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের। তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল বা আইইডিসিআরের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, রোগী গত মঙ্গলবার কল্যাণপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। তাঁর হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষার পরও রোগ ধরা পড়েনি। সেখানে অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় ১৭ মার্চ পৌনে পাঁচটার দিকে কল্যাণপুরের ওই হাসপাতাল থেকে থেকে তাঁকে মিরপুরের হাসপাতালটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ায় তাঁকে একজন বক্ষব্যাধি চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তিনিই প্রথম আশঙ্কা করেন রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।

মিরপুরের ঐ হাসপাতাল থেকে এ বিষয়ে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা নমুনা সংগ্রহ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওই ব্যক্তি বিদেশ ফেরত নন এবং বিদেশ ফেরত কারো সংস্পর্শে আসেননি বলে আইইডিসিআর আপত্তি তোলে।

ওই চিকিৎসক আরও বলেন, রোগী হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর ব্যাপারে সরকারের উচ্চপদস্থ লোকজন খোঁজখবর করেন। তাঁদের তদবিরেই পরে পরীক্ষা করা হয়। গতকাল মিরপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় রোগী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত প্রায় ১১ কোটি

মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ একটি বাড়ি কোয়ারেন্টাইনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টোলারবাগের ওই বাসার এক সদস্যের মৃত্যু হলে তাঁরা আইইডিসিআরের নির্দেশে বাসাটিকে কোয়ারেন্টাইন করেন। বাসাটি যে ভবনে, সেটির বাসিন্দারাও সতর্কতার অংশ হিসেবে বের হচ্ছেন না। আইইডিসিআরের নির্দেশনা মেনে মৃত ব্যক্তিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত ছিলেন, তাঁর বয়স ৭৩।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন