মূল ভূখণ্ডের প্রায় সমান অর্থাৎ এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকা রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু প্রয়োজনীয় সার্ভিল্যান্স চেকপোস্ট, নিজস্ব পেট্রোল বোট ও চাহিদামতো জনবল না থাকায় ৭১০ কিলোমিটারের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেইজ লাইন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিশাল অর্থনৈতিক এলাকা নজরদারির সক্ষমতা নেই সামুদ্রিক মৎস দপ্তরের।
জানা যায়, সারা দেশে একটি মাত্র সার্ভিল্যান্স চেকপোস্ট রয়েছে। আর মনিটরিংয়ের জন্য একটি গাড়ি রয়েছে। দুটি পুরোনো স্পিডবোট থাকলেও সেগুলো নষ্ট হয়ে আছে; তার মধ্যে একটি মেরামত-অযোগ্য। বাকিটির মেরামত কার্যক্রম চলছে। একই সঙ্গে মঞ্জুরিকৃত ৮৩ পদের মধ্যে ২৪টি পদ শূন্য পড়ে আছে।
মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা মনে করছেন, সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর জন্য মঞ্জুরিকৃত শূন্য পদ পূরণের পাশাপাশি উপকূলীয় প্রতিটি জেলায় একটি করে সার্ভিল্যান্স চেকপোস্টসহ মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স পন্টুন স্থাপন করা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. লতিফুর রহমান বলেন, সরকার এরই মধ্যে মৎস্য দপ্তরের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। আমাদের জনবল ও অবকাঠামোগত সক্ষমতা কম রয়েছে কথাটি সত্য। তাই এরই মধ্যে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটির আওতায় ১৬ উপকূলীয় জেলার ৭৫ উপজেলায় কার্যক্রম চলবে। আর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি