মাস্কের অতিরিক্ত দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অতিরিক্ত দামে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করায় দুই ফার্মেসি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। সোমবার গুলশানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিশেষ অভিযান চালিয়ে ফার্মেসি দুটিকে সিলগালা করে দেয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আল নূর ফার্মেসি ও সাফাবি ফার্মেসি। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে আল মদিনা ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি রাখি। তারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ক্রেতার কাছে মাস্কের দাম বেশি রাখে। এসব তথ্য আমরা ভিডিওতে ধারণ করেছি। পরে আমরা যখন তাদের কাছে মাস্ক কিনতে যাই তখন প্রতিষ্ঠানগুলো বলে যে তাদের কাছে মাস্ক নেই।
তিনি আরো বলেন, জাতির এ ক্রান্তিকালে অনৈতিকভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মাস্কের দাম বেশি নেয়া আইনত দণ্ডনীয়। এ অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। রাজধানীর আরও কয়েকটি জায়গায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকটকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
এর আগে রোববার (৮ মার্চ) বিকেলে দেশে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংবাদ শোনার পর থেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঢাকার মানুষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বাড়তি মুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সকালে পুরান ঢাকার চকবাজারের পাইকারি স্যানিটারি পণ্য বিক্রির মার্কেটে কমপক্ষে ৩০টি দোকানে গিয়ে কোনটিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন, রাতেই সব মাল বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক ফার্মেসি মালিক ফোনে অর্ডার দিয়ে ভোরে মালামাল ডেলিভারি নিয়ে গেছেন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস