ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কৃষকেরা বোরো ধান চাষে বেশি খরচ হওয়ায় এবং চলতি মৌসুমে আমন ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় বোরো ধান ছেড়ে ভুট্টা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭২০ হেক্টর চাষযোগ্য আবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে এবার ২০ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান এবং ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ১৭ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও ৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে।
মহেশপুর এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, আমাদের জীবন চলে চাষে। বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলাম। কিন্তু ধান বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই আর ওই জমিতে ধানের আবাদ করেনি। ভুট্টা লাগিয়েছি আর বাকি জমিতে অন্য ফসল করেছি।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার নির্ধারণ করা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বোরো ধান চাষ কম হয়েছে। অন্যদিকে ভুট্টা চাষ লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। ধান চাষে খরচ বেশি আবার দাম কম। অপরদিকে ভুট্টার বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকেরা বোরো চাষ ছেরে ভুট্টা চাষের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, এ মৌসুমে আমন ধানে বাজারদর কম ছিল। তাই কৃষকদের ধান চাষে আগ্রহ কমে গেছে। ধান চাষে খরচ বেশি আবার দামও কম। ভুট্টার ফলন বেশি বাজারদরও ভালো থাকায় কৃষকেরা বোরো চাষ ছেড়ে ভুট্টা চাষের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অধিক লাভের আশায়।
আনন্দবাজার/শাহী