আইইডিসিআরের নির্দেশনার পরও ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেই কোন তৎপরতা। বিশ্বে করোনার পরিস্থিতি বিবেচনায় সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। এ কারণে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বিশেষ আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনে জোর দিয়ে আসছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ক্রমাগত সংক্রমণের আড়াই মাসে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ধরা পড়েছে করোনা। বিশ্বের একশোটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী এই ভাইরাস। অথচ এমন পরিস্থিতিতেও সরকারি নির্দেশনা হাসপাতালগুলো।
সরেজমিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে খোঁজ নিলে আইসোলেশন ইউনিট গঠন নিয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি কর্মকর্তারা। একই চিত্র নগরীর অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও। করোনায় দেশ উচ্চ ঝুঁকিতে থাকার পরেও অজানা কারণে নেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার বিশেষ এই ইউনিট।
ব্যয়বহুল নেভেটিভ এয়ার প্রেসার ও অনুজীব সংক্রমণবিরোধী এমন ইউনিট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে যে আছে তার নিশ্চয়তাও নেই। অথচ মহামারি এই রোগ ঠেকাতে আইসোলেশন ইউনিট এর বিকল্প নেই।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ধরনের রোগ মোকাবেলা করা বেশ কঠিন। এটার জন্য চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, ম্যানেজমেন্ট সবার এক জোট হয়ে টিম ওয়ার্ক করতে হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস