করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) পুরো বিশ্ব, বিশেষ করে চীন এবং এর আশেপাশের দেশগুলোতে প্রচণ্ড আতংকের সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এ ভাইরাসে। যাদের মধ্যে দুই হাজার আটশত জনই চীনের নাগরিক।
বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে। সারা বিশ্বে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশীর মধ্যে করোনায় সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
সমস্যা হচ্ছে, কেউ আক্রান্ত হলে তার দেহে এই ভাইরাসের চিহ্ন বা লক্ষণ খুঁজে পেতে ১৪ সময় লেগে যায়। সাধারণত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর বা কাশি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার ফুসফুসের ৫০% ফাইব্রোসিস (সূক্ষ্ম অংশুসমূহের বৃদ্ধিকাল) তৈরি হয়ে যায়।
তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা নিজে নিজেই পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। যেটা কেউ প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ডে একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন।
কি ভাবে পরীক্ষা করবেন: পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সেটাকে দশ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন। যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনো কাশি না আসে, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না হয়, মানে কোনো প্রকার অস্বস্তি না লাগে, তাহলে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ কোনো ইনফেকশন হয়নি, আপনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত আছেন।
জাপানের ডাক্তাররা আরেকটি ভালো উপদেশ দিয়েছেন যে, সবাই চেষ্টা করবেন যেন আপনার গলা ও মুখের ভেতরটা কখনো শুকনো না হয়ে যায়, ভেজা ভেজা থাকে। তাই প্রতি পনেরো মিনিট অন্তর এক চুমুক হলেও পানি পান করুন। কারণ কোনোভাবে ভাইরাসটি আপনার মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলেও সেটি পানির সাথে পাকস্থলীতে চলে যাব। আর পাকস্থলীর এসিড মুহূর্তেই সেই ভাইরাসকে মেরে ফেলবে।
আনন্দবাজার/এম.কে