রানা হামিদ
ভূমিষ্ঠবেলায় মায়ের প্রসব যন্ত্রনানাশী চিৎকারের
পরিবর্তে
ঘন্টা দুয়েক স্তব্ধ থেকে জানান দিয়েছিলাম
আমি শুভ কিছু বয়ে আনিনি…
ছেলেবেলায় আম পাতা জোড়া জোড়া ছড়ার চাবুক মেরে ঘোড়া ছোটানোর পরিবর্তে
চাবুক মারাটাই আকৃষ্ট করত বেশি…
এই যে অন্যায্যকে গ্রহণ করা
বারংবার চপেটাঘাত করেছে আমায় নিজস্ব ভঙ্গিমায়…
কৈশোরের দুরন্তপনায় রঙের আঁচড়ে সাদা স্কুল শার্ট নোংরা না হয়ে
হয়েছে কলমের খোঁচায় পাশের বাসার লালমুনির টুকটুকে রক্তে…
লাল রঙের নেশায় আকৃষ্ট আমি যেদিন যৌবনের দরজায় প্রথম পদাঘাত করলাম
সেখানে কোন উর্বশী মোহিনী আমায় আমন্ত্রণ করেনি
করেছিল এক সর্বগ্রাসী কাপালিক!
বুঝতে পারিনি তাই
বুঝবার সক্ষম হওয়া কল্পনা বিলাসী…
যৌবনে সবুজ গালিচা বেয়ে স্বপ্নের সিড়ি ভেঙে
হলদে পাখির সুললিত আকন্ঠ মুগ্ধতায় বিমোহিত হয়ে কল্প রাজ্যের রাজা হয়ে উঠা হয়নি কখনও…
সাধারণে মুগ্ধতা শিশিরের মুক্ত দানা মাড়িয়ে দিগন্ত প্রশস্থ সম্মুখে এগিয়ে
গোধূলির সিঁদূর রাঙা প্রান্তরে চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া…
সেখানে হারিয়েছি আমি
উচ্চাভিলাষী খর্বকায় খরগোশের বন্য কুকুরের সাথে যুদ্ধে বিজয়ী হবার মাদকতায়
আজ বৃদ্ধের অট্টহাসি হাসায় আমায়
পৌঁছে গিয়েছি জীবন সীমায়,
ভুল সময়ের ভুল মানুষের ভুল ঠিকানায়!
আমিই কেন নিয়তির দীনতায়?