কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে শীঘ্রই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা উপকরণে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই সংকট রুখতে মেডিকেল কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন ৪০ শতাংশ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস জেনেভায় এ কথা জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, নভেল করোনাভাইরাসে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যা মৌসুমী ফ্লুতে মৃত্যুহারের চেয়ে অনেক বেশি। তবে কোভিড-১৯ ফ্লুর চেয়ে কম ছড়ায়, অনাক্রান্তদের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটে না, ফ্লুর চেয়ে কম গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়। এর ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনও আসেনি এবং এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
এই ভাইরাস সংক্রমণের পর মেডিকেল উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তাদের হিসেব মতে, ভাইরাসের কারণে সার্জিক্যাল মাস্কের দাম বেড়েছে। এন৯৫ মাস্কের দাম তিনগুণ হয়েছে এবং ভাইরাসপ্রতিরোধী গাউনের দামও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
সংস্থাটি বলছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী মেডিকেল কর্মীদের প্রতি মাসে অন্তত ৮৯ মিলিয়ন মাস্ক, ৭৬ মিলিয়ন গ্লাভস এবং ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন বিশেষ চশমা প্রয়োজন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস