নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকেই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদেশীদের ওমরাহ পালনে স্থগিতাদেশ দেয় সৌদি আরব। ফলে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশী ভিসা পেয়েও ওমরাহ পালনে যেতে পারেননি। এরমাঝে তাদের ভিসা ফিসহ অন্যান্য সব খরচ ফেরত পাওয়া নিয়েও সংকট দেখা দিয়েছিল। এমতাবস্থায় গত রোববার ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা ও অন্যান্য সার্ভিস চার্জের ফি’র টাকা ফেরত দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও আগাম প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওমরাহ ও ট্যুরিস্ট ভিসা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
আর ভিসা ফি ফেরত দেয়া সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, ভিসা স্থগিত হওয়া ওমরাহ যাত্রীদের ফি এবং অন্যান্য বিষয়ে নেয়া সকল সার্ভিস চার্জ ফেরত দেয়া হবে। এজন্য এজেন্সির মাধ্যমে যাত্রীদের যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব (হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) জানিয়েছে, ওমরাহ ভিসার শর্ত অনুযায়ী আগেই বিমান, হোটেলসহ অন্যান্য প্রস্তুতি বাবদ অর্থ খরচ করে ফেলেছে এজেন্সিগুলো। সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ভিসা করার আগেই দেশটিতে থাকার হোটেলসহ বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করে রাখতে হয়।ফলে ওমরাহ যাত্রীরা সৌদি আরবে না যাওয়ায় হোটেল, বিমান ও গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচের জন্য আর্থিক ক্ষতি হবে এজেন্সিগুলোর।
ভিসা ফি ফেরত পেলে কিছুটা আর্থিক ক্ষতি কমবে বলে মনে করেন হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব কখনই ভিসা ফি বাবদ টাকা ফেরত দেয় না। আমরা আনঅফিশিয়ালি জানতে পেরেছি সৌদি সরকার ভিসা ফি ফেরত দেবে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে কোন প্রক্রিয়ায় কীভাবে ফেরত দেয়।
আনন্দবাজার/তা.তা