ঢাকা | শুক্রবার
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমাদানিতে নারাজ কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমাদানির বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবেন। 

বিশ্লেষকরা জানান, চাষের আগ্রহ এবং খাওয়া কমানো ইতিবাচক। তারা আরও মনে করেন, কৃষককে ভালো দাম দিতে হলে আগস্ট মাসের আগে কোনোভাবেই ভারত থেকে আমদানি ঠিক হবে না।

গত বছরের অক্টোবর থেকে পেঁয়াজের ঝাঁঝে বিপাকে ভোক্তা যার প্রধান কারণ ভারত রফতানি বন্ধ করে দেয়া। নিয়ন্ত্রণহীন বাজার সামাল দিতে বেগ পেতে হয় সরকারেরও। শেষ পর্যন্ত বিকল্প দেশের আমদানির ফর্মূলায় ধীরে ধীরে লাগাম টানায় ২৬০ টাকা থেকে কমতে কমতে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় নেমেছে পেয়াজের বাজার দর।

এবার দেশে পেঁয়াজের আবাদ বেড়েছে ভাল দামের আশায়। মেহেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এখন শুধু ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষা। এমন অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আবারো ভারতীয় পেঁয়াজ রফতানি করতে চায়।

বছরে ২০-২২ লাখ টন উৎপাদন হয় দেশে। তারপরও আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ৮ লাখ টন পেঁয়াজ। আবাদ বেশি এবং ফলন ভালো হওয়ায় এবার ঘাটতি থাকতে পারে ৫-৬ লাখ টন।।

এমন অবস্থায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক কৃষকের কথা মাথায় রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,  পেঁয়াজ ঘরে তুলার সময়ে চাষিরা যেন ভালো দাম পায় এবং ওই সময়ে আমাদের পেঁয়াজ আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিশ্লেষকরা জানান, এবার পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ অন্তত ৩০ টাকা মাঠ পর্যায়ে। অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বাজার। এই সময় ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।

আনন্দবাজার/এস.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন