বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। যেখানে নারী-পুরুষ উভয়েরই বসবাস রয়েছে। তবে অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, এদেশে এমন এক গ্রাম রয়েছে যেখানে কোনো নারী নেই। সুন্দরবনের দুবলার চরে ২০ হাজার মানুষের বসবাস। অথচ সেখানে কোনো নারী সদস্যই নেই।
দুবলার চরটি মূলত কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এক কথায় এই চরটিকে শুঁটকির রাজ্য বলাটা ভুল হবে না। শাকিল আহমদ নামের একজন ট্যুর গাইড জানান, সুন্দরবনে ঘুরতে এলে অবশ্যই এই স্থানটি না ঘুরে কেউ ফিরতে চান না।
ট্যুর গাইড সুমন বলেন, দুবলার চরে কোনো নারী নেই। কারণ চরে কেউ নারী নিয়ে আসে না, আসলেই ডাকাতরা ধরে নিয়ে যায়।
আসলেই তাই ঘটে এখানে। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো নারী পাওয়া যাবে না। উল্টো রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত দেখা যাবে পুরুষদেরকেই। সেখানকার বসবাসরত পুরুষদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে সবার উত্তর একই ‘এখানে কোনো নারী নেই’। তবে কেউ কেউ বললেন, অস্থায়ী আবাসের কারণেই তারা নারীদের সঙ্গে করে আসেন না।
সুন্দরবনের নিরাপত্তা কর্মী শাহ্জাহান জানালেন, বছরে মাত্র পাঁচ মাস দুবলার চরে মানুষের আনাগোনা থাকে, যার বেশির ভাগটাই শুঁটকিকে কেন্দ্র করে আসে। সরকার কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রায় ২০ হাজার জেলে শুষ্ক মৌসুমে এখানে মাছ ধরার জন্য আসেন। এরপর অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করে মাছ ধরা ও শুঁটকি করাসহ আনুসঙ্গিক নানান কাজে নিয়োজিত থাকে।
আনন্দবাজার/এম.কে